নাবালিকাকে উদ্ধার করলো শেওড়াফুলি জিআরপি

17th February 2020 হুগলী
নাবালিকাকে উদ্ধার করলো শেওড়াফুলি জিআরপি


শেওড়াফুলির পাঁচ নম্বর প্লাটফর্মে  যুবক যুবতীকে ঘুরতে দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের । তখন তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর আটক করে। টেলিফোনে গুসকরা থানায় যোগাযোগ করা হয়। তখন গুসকরা থানায় যোগাযোগ করা হলে তারা তখন ছবি পাঠায়। ছবি দেখে শেওড়াফুলি জিআরপি ওসি গোপাল গাঙ্গুলি জানায় ছবির সাথে  মিল রয়েছে এদের। গুসকরা  থানায় পুলিশ জানায় আটকে রাখার কথা।  কারন গত ৫ জানুয়ারি থেকে এরা দুজনে নিখোঁজ ছিলো। মেয়েটির  বাড়ির লোক যুবক এবং তার বাবার বিরুদ্ধে অপহরনের অভিযোগ করেন। যুবকের নাম জয়ন্ত অধিকারী (২৬) । বাড়ি বর্ধমান জেলার গুসকরা  থানায় বেলাড়ী গ্রামের বাসিন্দা। সে একই গ্রামের এক নাবালিকাকে ফুসলিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। সোমবার সন্ধ্যায় গুসকরা থানায় পুলিশ আসে শেওড়াফুলি জিআরপি থানায়। তাদের হাতে  যুবক যুবতীকে তুলে দেয় জিআরপি। গুসকরা থানায় পুলিশ জানায় বহু খোঁজা পরেও তাদের কোন হদিশ পাওয়া যাচ্ছি না। আমরা খবর পাই শেওড়াফুলিতে জিআরপির পুলিশ  কাছে আটক আছে। আমরা তাকে গ্রেপ্তার করি। আগামি কাল আদালতে তোলা হবে । 





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।